চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোরীয় উপদ্বীপে ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এ দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হবার পর মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম একথা জানায়। খবর এএফপি’র।
এ সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যক্রম বন্ধে তাদের রাজি করানোর আশায়, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ জোরদারে শি’কে চাপ দেন। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় এবং দেশটির নেতা কিম জং উন যুদ্ধের হুমকিসহ ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করায় ওই অঞ্চলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে বিগত দুই বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো দুই কোরিয়া আলোচনার টেবিলে বসায় এবং পিয়ংচংয়ে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে পিয়ংইয়ং খেলোয়াড় পাঠাতে সম্মত হওয়ায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, টেলিফোনে শি উল্লেখ করেন যে কোরীয় উপদ্বীপ পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শি’র বরাত দিয়ে বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপের এমন শীতল পরিস্থিতি বজায় রাখার এবং আলোচনা আবারো শুরু করার পরিবেশ তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে যৌথ প্রচেষ্টা চালানো উচিত হবে। উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে দু’দিনের আলোচনা অনুষ্ঠানে ভ্যাঙ্কুভারে ২০ টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একত্রিত হওয়ার পর তাদের মধ্যে টেলিফোনে এসব কথা হয়। এএফপি।