রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ ছাড়া দেশের অন্যত্র ঠাণ্ডার প্রকোপ কমেছে। কুয়াশার দাপটও নেই। পর্যাপ্ত সূর্যের তাপ মেলায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় মানুষ আর কনকনে ঠাণ্ডা অনুভব করছে না। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। তবে ২০ জানুয়ারির পর আবার একটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
সেই শৈত্যপ্রবাহের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে সে সম্পর্কে গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাপ্ত তথ্য থেকে আমরা ধারণা করছি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের হবে। তাপমাত্রা অনেকটা কমবে। তবে চলতি শৈত্যপ্রবাহের মতো এতো দীর্ঘ সময় থাকবে না। চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে। সব মিলিয়ে জানুয়ারিজুড়েই ঠাণ্ডার প্রকোপ থাকবে। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ও ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল আবহাওয়া বিভাগের দাপ্তরিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, ঘন কুয়াশার কারণে চলমান শৈত্যপ্রবাহের একটা পর্যায়ে দেশের সিংহভাগ এলাকায় দিনের বেলায় রোদের দেখা মেলেনি। সেই সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যায়। মানুষ সারাদিনই স্যাঁতস্যাঁতে শীত অনুভব করেছে।