রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কৃষিবিদ, বিজ্ঞানী, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এ প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ-২০১৮-এর উদ্বোধনকালে বলেন, মৎস্য ও গবাদিপশু পালন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগের জন্য একটি বড় ও সম্ভাবনাময় খাত। রফতানি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে উৎপাদনের গুণগতমান নিশ্চিত করুন।
রাষ্ট্রপতি সকল স্তরে উৎপাদনের যথাযথ মান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, পরীক্ষাগার গড়ে তোলা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আইনি কাঠামো কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পণ্যের চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের কারণে ভোক্তারা এখন বাজারে যৌক্তিক দামে ডিম, দুধ, মাংস পাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, শুধু ভোক্তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা ভাববেন না; একই সাথে উৎপাদকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিন।
পণ্যের ন্যায্যমূল্য বজায় রাখার পাশাপাশি এই খাতের রফতানি আয়ের ব্যাপারেও নজর দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী যারা অতীতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের কর্মকাণ্ড দেশের সম্ভাবনাকে মারাত্বকভাবে ব্যাহত করেছে এবং বিদেশেরও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
বৈশ্বিক রফতানি বাজারকে খুবই প্রতিযোগিতামূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পণ্যকে অবশ্যই সেরা হতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও রাষ্ট্রপতি হামিদ সতর্ক করে দেন।
খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনকারী বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রাণিসম্পদ খাতে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদনে আরো উন্নত সেবা দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।