রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, শহীদ মতিউরসহ অন্যান্য শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি। গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর, যা ছিল জনগণের মহাবিজয়।
বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ দিনটি গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’
বাণীতে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। স্বায়ত্তশাসনসহ ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬ দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং তা সারা পূর্ববাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।
আবদুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বাম রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণ-আন্দোলনকে বেগবান করে। তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক, ছাত্র, শিক্ষক, জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নবমশ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। বাসস।