রাজশাহী:
অসচেতনতা, অপরিণত বয়সে বিয়ে ও অনিরাপদ যৌনাচারের কারণ বাংলাদেশ জরায়ু ক্যান্সার বাড়ছে। জরায়ু মুখের ক্যান্সার খুব ধীরে ছড়ায়।
প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তি কিছু বুঝতে পারেন না। তাই নারীদের প্রতি তিন বা পাঁচ বছরে অন্তত একবার জরায়ু মুখের ক্যান্সার সংক্রামণের আশঙ্কা আছে কি-না, তা পরীক্ষা করা দরকার। সচেতনতাই জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
রাজশাহী মহানগরীর নানকিং দরবার হলে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী আয়োজিত এক সেমিনারে উপস্থিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা এ কথা বলেন।
জানুয়ারিকে ‘জরায়ু মুখের ক্যান্সার সচেতনতার মাস’ হিসেবে পালনের লক্ষ্যে আয়োজিত এ সেমিনারের পৃষ্ঠপোষকতা করে সনোফি অনকোলজি। সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে কিনোট পেপার উপস্থাপন করেন প্রফেসর ডা. মো. দায়েম উদ্দিন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রফের দায়েম উদ্দিন ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শাহালা হোসেনী, প্রকৌশলী সিরাজুম মনির, ডা. জুলেখা সরকার, অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার জ্যোৎস্না ও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডা. লাকি সিনহা।
এতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার বা জরায়ুর ক্যান্সার নারীদের জন্য একটি ভয়াবহ ব্যাধি এবং জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া প্রতি বছর ৫ লাখ ২৭ হাজার নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার ১৫-৪৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের প্রায় ২ থেকে ২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। তবে সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সাধারণত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের নারীরা স্বাস্থ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন না বলে এ রোগের বিস্তার বেশি। তবে উন্নত দেশের নারীরা এবিষয়ে সচেতন এবং উন্নত জীবনযাপনের কারণে অনেকটাই এ রোগ থেকে নিরাপদ।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য ‘পেপস স্মেয়ার টেস্ট’ রয়েছে, যা উন্নত দেশের নারীরা দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করতে পারেন, যা অনুন্নত দেশে গ্রহণ করতে অনেক পারিবারিক ও সামাজিক বাধা রয়েছে।
প্রধান বক্তা প্রফেসর ডা. দায়েম উদ্দিন তার বক্তব্যের শেষে বলেন- সচেনতা, পরিচ্ছন্নতা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, নিরাপদ যৌনমিলন ও