• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সামরিক শাসন জারি করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করতে চায় ফের খারিজ মাস্কের ৫৬ বিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিকের আবেদন বিজেপি ক্ষমতা হারানো হাসিনার চেয়ে বেশি পাগল হয়েছে : রিজভী ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি তলব বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদ: মাহমুদুর রহমান ত্রিপুরা আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ভারতের ৪৭৩০০১ শূন্যপদে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ ভারতে আগরতলায় বাংলাদেশি দূতাবাসে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা! ভারত সরকারকে মমতার অনুরোধ বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে ব্যবস্থা নিতে

‘আমি হতাশার লোক না’

আপডেটঃ : রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর সময়কার বাধার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নতুন কিছু করতে গেলে নানা বাধা আসে, নানা রকম ফর্মুলা এসে যায়। অনেক তাত্ত্বিক গজিয়ে যায়, নানা রকম কথা বলে। তবে আমি হতাশার লোক না।’

রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু লোক সব সময় হতাশায় ভোগে কিছু করতে গেলে সব সময় বলে গেল গেল সব গেল। এই বলে হতাশা ছড়াতে চায়। আমি হতাশার লোক না। আমি সব সময় আশাবাদী।’

‘৯৬ সালে সরকারে আসার পর যখন দেখলাম বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, কোনো কোনো এলাকাতে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ থাকে না। তখন আমি দেখলাম এটা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না। আমরা দেখলাম- বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন>>
** রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের আহ্বান উইদোদোর

বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সরকারের উদ্যোগগুলোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নত জীবন চাই। উন্নত জীবনের জন্য আমরা আইন করে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম বলেই আজকে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। মানুষকে আজকে তার জীবনমান উন্নয়নে সুযোগ করে দিচ্ছি।

বর্তমানে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা ও ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারলে মানুষের জীবন জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি হয়। মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা যত বাড়ছে ততো অর্থনৈতিক সক্ষমতাও বাড়ছে। বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও।’

মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ হয়েছে ৯ মাস আগে।

প্রকল্পটির প্রাথমিক অবকাঠামোর ১৭ শতাংশ কাজ শেষে এখন প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয়েছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ১৪১৪ একর জমিতে নির্মিত হতে যাওয়া এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ