স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের অগ্রগতি হয়েছে এবং আয় ও মজুরির ক্ষেত্রে নারী পুরুষের ব্যবধান কমে এসেছে, পাশাপাশি শ্রমশক্তিতে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) নতুন এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় এডিবির তৈরি এই রিপোর্ট আজ মঙ্গলবার নগরীর একটি হোটেলে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমিন বিনু এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশসহ জেন্ডার ও সেক্টর স্পেশালিস্ট এবং অর্থনীতিবিদরা এতে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ জেন্ডার ইকুয়ালিটি ডায়াগনস্টিক অব সিলেকটেড সেক্টরস শিরোনামের এই রিপোর্টে এডিবি সমর্থিত চারটি প্রকল্পের প্রধান খাত দক্ষতা, বৃত্তিমূলক, উচ্চশিক্ষা এবং জ্বালানি, পরিবহন এবং গ্রামীণ উন্নয়নের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা তুলে ধরা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা হয়, মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে ১৯৯০ সালে ৪৭২ থেকে কমে ২০১৫ সালে ১৮১ জনে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, আনুষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন নারী কর্মীর সংখ্যা ২০১০ থেকে ২০১৩-তে প্রায় অর্ধেক কমে ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ে শিক্ষিতদের সংখ্যা বাড়ছে। চাকরিতে নিযুক্ত মহিলা কর্মীদের দক্ষতা ও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শ্রমশক্তিতে নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে শ্রমশক্তি নারীদের সংখ্যা ২০১৩ সালে ছিলো মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ। বাসস