• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন

ভোটের আগে নির্বাচনী বাজেট পেশ অরুণ জেটলির

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ভারতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বাজেটে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বিশাল এক স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণা করে বেশ চমক দিয়েছেন তিনি। এছাড়া চাকরিজীবীদের জন্যও সুখবর রয়েছে এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাবে।
জানা গেছে, তাদের বাড়তি আয়কর দিতে হবে না। ব্যক্তিগত আয়করের স্তরে কোনো রদবদল ঘটানো হয়নি। বেতন অনুযায়ী যাকে যতটা আয়কর দিতে হচ্ছিল, মোটামুটি ততটাই দিতে হবে। তবে ভ্রমণ ও চিকিৎসার খরচের বিল জমা দিয়ে চাকরিজীবীরা যে টাকা পান, তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসাবে তাদের মোট বাৎসরিক আয় থেকে ৪০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে। ফলে, সেটাও করের আওতায় পড়বে না।
চাকরিজীবীদের জন্য দ্বিতীয় সুখবর, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) এর আওতায় নতুন আসা কর্মীদের ক্ষেত্রে সরকারি জমার পরিমাণ আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। ৩ বছরের জন্য। ইপিএফে সরকার এবার জমা দেবে কর্মীদের বেতনের ১২ শতাংশ। এটা সব ধরনের কর্মক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য। বাজেটে বাড়তি সুখবর রয়েছে মহিলা চাকরিজীবীদের জন্য। মহিলা চাকরিজীবীদের এখন তাদের বেতনের ১২ শতাংশ জমা দিতে হয় ইপিএফে। এবার সেটা কমিয়ে ৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অবসরের পর ফিক্সড ডিপোজিটে সারা জীবনের সঞ্চয় জমা রেখে, তার সুদের ভরসায় যাদের বাকি জীবনটা কাটাতে হয়, সেই প্রবীণ নাগরিকরাও কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাবে চোখ বুলিয়ে। কিন্তু সুদ বাবদ ‘লাভ’ এর পরিমাণ বাড়লেই এতদিন উদ্বেগে দিন কাটাতে হত তাঁদের। কারণ, সুদ বাবদ ১০ হাজার টাকার বেশি আয় হলেই এখন তাদের আয়কর দিতে হচ্ছে। এবার সেই ছাড়ের পরিমাণ ৫ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে সেই ঊর্ধ্বসীমা ধার্য হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। তার মানে, ফিক্সড ডিপোজিটে জমার উপর সুদ বাবদ বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেলেও এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর ছাড়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সব রকমের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমেই এটা প্রযোজ্য হবে।
বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডের ডিভিডেন্ডে ১০ শতাংশ করের প্রস্তাব রয়েছে। এটা আগে ছিল না। ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় বান্ধব প্রকল্প’-এ ১৫ এবং ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মোট জমার উপর অন্তত ৮ শতাংশ রিটার্ন সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মেডিক্লেমকে করের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। আরো কিছু ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে করছাড় বা কর মকুবের প্রস্তাব। তার মধ্যে যেমন রয়েছে কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলি (ফার্মার প্রোডিউসার কোম্পানি), তেমনই রয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। যার ফলে, ফ্ল্যাটের দাম কমার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলিকে চাঙ্গা করে তুলতেও সদর্থক ব্যবস্থার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। তাদের আয়ের উপর ২৫ শতাংশ কর কমানোর কথা বলা হয়েছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘সেস’ এর পরিমাণ ৪ শতাংশ বাড়তে পারে। এনডিটিভি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ