আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২২২ রানে গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে হাসি নেই। প্রথম দিন শেষে ৫৬ রান তুলতে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। স্বাগতিকরা পিছিয়ে ১৬৬ রানে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় লঙ্কানদের দেয়া ২২২ রান টপকে লিডকে মনে হচ্ছে দূরের পথ। লিটন দাস ২৪ ও নাইটওয়াচম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রানে ব্যাট করছেন।
শ্রীলঙ্কার ২২২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে লাকমালের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন টাইগার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (০)। আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস কঠিন সময়টা পার করে ফিরেন দিনের শেষ দিকে। মাঝে উইকেট বিলিয়ে আসেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। এরপরের ওভারে নিজের দোষে রান আউট হয়ে ফিরে যান আগের ম্যাচের দুই ইনিংসেই শতক হাকানো মুমিনুল হক। মুমিনুলের দৃষ্টিকটু রান আউটের রেশ না কাটতেই অষ্টম ওভারের শেষ বলে লাকমালের শিকার হয়ে ফিরে যান মুশফিক। ইনসুইং বলটিতে মুশফিক শট না খেলে ছেড়ে দেয়ায় বলটি স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। যেটি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের শট সিলেকশনের সক্ষমতা নিয়ে তৈরী হওয়া প্রশ্নটাকেই আবার সামনে এনেছে।
এর আগে দিনের ৬৬তম ওভারেই রাজ্জাক-তাইজুলের ঘুর্নি তোপে ২২২ রানেই গুটিয়ে যায় চান্ডিমালের দল। রাজ্জাক এবং তাইজুল- দু’জনই নিয়েছেন ৪টি করে ৮টি উইকেট। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস। এছাড়া রোশেন সিলভা ৫৬ রান করে লঙ্কানদের স্কোর ২০০ পার করে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২২ ওভারে ৫৬/৪ (তামিম ৪, ইমরুল ১৯, মুমিনুল ০, মুশফিক ১, লিটন ২৪*, মিরাজ ৫*; লাকমল ৭-৩-১৫-২, দিলরুয়ান ৮-৩-২৫-১, দনঞ্জয়া ৩-১-৪-০, হেরাথ ৪-০-১১-০)