আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনি বাধায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে সেক্ষেত্রে সরকারের কোন দায় নেই। তবে সরকার চায় না কাউকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করতে।
রবিবার জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ২২তম জুডিশিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি পারবেন না এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের দুই রকম রায় আছে। তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাচন কমিশন। এখানে সরকারের কোন ভূমিকা নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এখন হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন। আপিলের পর চাইলে জামিনের আবেদন করতে পারেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। সরকারের যেখানে কিছু করণীয় নেই, সেখানে সরকারকে কিছু করতে হবে, আর সরকার কিছু না করলেই হুমকি-ধামকি দিবে, এক্ষেত্রে কিন্তু সরকার ভীত হবে না। এখানে সংঘাতের কোন প্রশ্ন নেই। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন সকলের জন্য সমান, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। এসব ব্যাপারে কোন হুমকি-ধামকিতে আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। এটাই হচ্ছে পরিষ্কার কথা।
এর আগে জজদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, সময় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা, আচার-আচরণ, দাবি-দাওয়া সহ সকল বিষয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে আমাদের সবাইকে সময়োপযোগী, আধুনিক এবং বৈশ্বিক মানে উন্নীত করার কোন বিকল্প নাই। সনাতনী ও সেঁকেলে ব্যবস্থা দ্বারা আধুনিক কালের কোন সমস্যা নিরসন করা দুরহ ব্যাপার। তেমনি সনাতনী মন মানসিকতা দিয়েও বর্তমান কালের কোন সমস্যা বা সংকট অনুধাবন করা কঠিন। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক বা বিচারিক সকল বিষয়ে এ কথা প্রযোজ্য।