শ্বেতী রোগ বা ভিটিলিগো এক ধরনের চর্মরোগ, যাতে শরীরের ত্বকের ম্যালানোসাইট কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ত্বকের এই ম্যালানোসাইট ধ্বংসের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণটাই শরীরের ভেতরের একটি প্রক্রিয়া। আক্রান্ত অংশে ত্বকের ম্যালানোসাইটগুলো মেলানিন তৈরি করতে পারে না। তাই আক্রান্ত অংশ অতিরিক্ত সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। নারী কিংবা পুরুষ যে কোনো বয়সেই এই শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত শরীরের যেসব অঙ্গ আবরণমুক্ত থাকে যেমন- হাত, পা, মুখমণ্ডল এবং ঠোঁট ইত্যাদি অংশে শ্বেতী বেশি দেখা যায়। তবে শ্বেতী শরীরের যে কোনো অংশেই দেখা দিতে পারে।
শ্বেতীরোগে সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে সাদা বর্ণের দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত অংশের লোম কিংবা চুলও সাদা বর্ণের হয়ে থাকে।
শ্বেতী একটি অটোইমিউন রোগ। এ ছাড়া বংশগতভাবেও শ্বেতী রোগ হতে পারে। তবে শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়।
শ্বেতী রোগের চিকিত্সা সময়সাপেক্ষ। অনেক সময় এটি পুরোপুরি সেরে যায় না। আবার কোনো চিকিত্সা ছাড়াই রোগ সেরে উঠতে পারে। তবে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘ মেয়াদী চিকিত্সা প্রয়োজন। রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তি ভেদে চিকিত্সা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। শ্বেতী চিকিত্সায় সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কর্টিকোস্টেরয়েড, টক্সোলিমাস অথবা পাইমেক্রোলিমাস মলম ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ন্যারো ব্যান্ড আলটাভায়োলেট বি ও পুভা থেরাপি ইত্যাদি শ্বেতী চিকিত্সায় ব্যবহূত হয়। এ ছাড়া শ্বেতী চিকিত্সায় আজকাল কসমেটিক সার্জারিও করা হয়।