পাপুয়া নিউ গিনিতে গত মাসে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্গত এলাকায় নানা ধরণের রোগ ছড়িয়ে পড়লে এ সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। বুধবার দেশটির পুলিশ একথা জানায়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির পার্বত্য অঞ্চলে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়ে বাড়িঘর চাপা পড়ে। দুর্গম গ্রামগুলোতে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখন বেড়ে ১২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ১শ’। দুর্গম বসতিগুলো থেকে আরো মৃতের খবর পাওয়া গেছে। রয়্যাল পাপুয়া নিউ গিনি কন্সট্যাব্যুলারি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বিভিন্ন কমান্ড সেন্টার থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাউদার্ন হাইল্যান্ডস এ এখন পর্যন্ত ৪৫ জন মারা গেছে। এছাড়াও হেলা প্রদেশে ৮০ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘নিখোঁজ সকলের তল্লাশি অভিযান সম্পন্ন হলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’ সাউদার্ন হাইল্যান্ডে ১৫ হাজার এবং হেলায় অন্তত ২০ হাজার লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছাতে শুরু করেছে। চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। দুর্গত এলাকাগুলোতে বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তারা সতর্ক করেছেন।
সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি ওষুধ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা স্যাম ইয়োকোপুয়া ন্যাশনাল নিউজপেপারকে বলেন, ‘আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারলে খাবার ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক লোক মারা যেতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘উদাহরণ স্বরূপ স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা একটি এলাকা পরিদর্শন করে এসে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ৮০ জন আহত হয়েছে। কিন্তু খাবার ও পানিবাহিত রোগে ১শ’ জনের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে।’ দেশটির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নীল বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এই সংকট সামাল দেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হচ্ছে। এএফপি।