বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদুকের আইনজীবীদের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করে বলেছেন, তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয় তারা রাষ্ট্রের আইনজীবী নয়, আওয়ামী লীগের আইনজীবী। রাষ্ট্রের প্রতি, জনগনের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের কর্মকাণ্ডেই প্রমানিত হয় বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তির পেছনে সরকারের মদদ রয়েছে।
তিনি বলেন, ১/১১ সরকারের আমলে করা শেখ হাসিনার মামলাগুলো প্রত্যাহার হলে বেগম জিয়ার মামলা কেন প্রত্যাহার হলো না? আসলে আওয়ামী লীগ বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয়তাকে ভয় পান। আর সেই কারণেই নিজেরদের অপকর্মকে আড়াল করতে নেত্রীকে জেলে দিয়েছেন।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত ‘চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট : কোন পথে বাংলাদেশ’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র হুমকির মুখে। মানুষকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। দেশ ও দেশের জনগণকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, ফলে গণতন্ত্র গভীর সংকটে নিপতিত হচ্ছে। ব্যাংকে চলছে হরিলুট। হাজার হাজার কোটি টাকা অবাধে লুট হচ্ছে। আর এই লুটপাটে সহায়তা করছে সরকার। কোটি কোটি ডলার পাচার হচ্ছে এবং বিদেশে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছে এই লুটপাটকারীরা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া যে গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন সেই গণতন্ত্র আজো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেদিন যদি যাদু মিয়া প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পাশে এসে না দাঁড়াতেন তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো কিনা সন্দেহ আছে। যাদু মিয়া শুধু শহীদ জিয়ার পাশেই দাঁড়াননি গণতন্ত্রের জন্য তিনি ন্যাপ’র নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ বিএনপির হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির সহ-গবেষনা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব আল আমিন ভুইয়া রিপন, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।