সাধারণ দেহকোষ প্রকৃতির নিয়মেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে মরে যায়। অথচ দেহের যেসব কোষে ক্যান্সার বাসা বাঁধে, তারা যেন কোনো এক অদ্ভুত নিয়মে ‘অমর’! নিজেরা না-মরে রোগীকে মেরে ফেলে তারা। কিন্তু মরণশীল মানুষের দেহে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ অমর হতে পারে না, এই যুক্তিতে ভর দিয়ে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলার বিকল্প উপায় বের করেছেন বলে দাবি করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক বিজ্ঞানী।
শিকাগোর রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষক কালীপদ পাহানের দাবি, তিনি ‘মোনোক্লোনাল’ নামে একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন, যা ক্যান্সার কোষ নিধনে সক্ষম। তার এই আবিষ্কারের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ওই বিজ্ঞানী আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, কোষকে কেমোথেরাপিতে জব্দ করার সময়ে প্রচুর সাধারণ সজীব কোষও মারা পড়ে। একারণেই নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। গিনিপিগ ছাড়াও মানবদেহের লিভার, স্তন, প্রস্টেটের ক্যান্সার কোষের উপরে তার তৈরি অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করে ফল মিলেছে। সাধারণ কোষ বাঁচিয়ে ক্যান্সার কোষ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। তবে ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কিন্তু ওই অ্যান্টিবডিতে এখনো সফলতা পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। তার দাবি, এই অ্যান্টিবডি মানবশরীরে ঢোকালে ক্যান্সার কোষ মারা যাচ্ছে। এমনকি ক্যান্সার-আক্রান্ত কোষ ছড়িয়ে পড়তেও পারছে না। বিভিন্ন বিখ্যাত ওষুধ সংস্থার সঙ্গে তার কথা চলছে বলে জানিয়েছেন এই বিজ্ঞানী। ওষুধ সংস্থা তার কাছ থেকে পেটেন্ট কেনার পর তিনি ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করবেন।