• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

একটি বাড়ি একটি খামারে উপকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ অতিদরিদ্র

আপডেটঃ : শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম বিশেষ উদ্যোগ ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এই প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসাইন জানান, ‘তহবিল সংগ্রহ এবং ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সরকার প্রকল্পটি গ্রহণ করে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য অনুযায়ী এটি দরিদ্র মানুষদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে মোট ৬৭ হাজার ৭শ’ ৫৭ টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি হয়েছে, যা থেকে প্রায় ৩২ লাখ ৭০ হাজার পরিবার উপকৃত হচ্ছে। প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সমিতিতে ১ হাজার ২শ’ ২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকারও বেশি জমা রেখেছে এবং সরকার ১ হাজার ২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে।
আকবর হোসাইন বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার দরিদ্র পরিবারগুলোকে মূলধন গঠনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ানো হচ্ছে, যা তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের একসাথে উঠান বৈঠকে বসতে, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রয়োজন মাফিক ছোট পারিবারিক খামার প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করছে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, গ্রাম উন্নয়ন সমিতি’র সদস্যরা ইতোমধ্যে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। এখন তারা নিজেদের ব্যবসা নিজেরাই স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম। এ প্রকল্প পরিচালনার ফলে প্রকল্প এলাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারের হার ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। স্বাবলম্বী পরিবারের হারও ২৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ শতাংশ হয়েছে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির বলেন ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প সারা দেশে গ্রামীণ জনগণের সক্ষমতা বাড়িয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, গাজীপুর জেলায় মোট ৪শ’ ৩১টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি হয়েছে। যেখান থেকে ২১ হাজার ৮শ’ ৬৮টি পরিবার সুবিধা গ্রহণ করছে। এই সুবিধাভোগীরা ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা সমিতিতে জমা রেখেছে।
তিনি আরো জানান, এসব সমিতির মাধ্যমে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে সমিতির সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে এবং এই ঋণ পুনরুদ্ধারের হার ৬৫ শতাংশ। বাসস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ