রথম দফায় ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা থেকে ৫৫৯ জন (প্রথমে ৩৭৪ পরে ১৮৫) রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চায় মিয়ানমার সরকার। এই রোহিঙ্গাদের রাখাইনের আদি বাসিন্দা বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। বাকিদের ফেরানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি দেশটি।
এদিকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় তালিকা দেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই দফায় ১০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, প্রথম তালিকা থেকে মাত্র ৫৫৯ জনকে নেয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেয়ায় বাংলাদেশ বিস্মিত হয়েছে। তারপরও প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গার দ্বিতীয় তালিকা শিগগিরই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ১ হাজার ৬৭৩ পরিবারের ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার প্রথম প্রত্যাবাসন তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছিল। এদিকে আগে থেকে আশ্রয় নেয়া ২৪১৫ জন রোহিঙ্গাকে স্বীকৃতি দিয়েও মিয়ানমারের না ফেরানোর বিষয়টি সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর এসেছিল ৮৭ হাজার। আর এখানে আগে থেকে আরো প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ ৯৫ হজার রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি এখনো চলমান রয়েছে।
এদিকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে দেরি হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ভূমিধস, বন্যা, সাইক্লোনের আশঙ্কায় পাহাড়ি এলাকায় চরম ঝুঁকিতে থাকা কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শরণার্থী বিষয়ক বিশেষ সেলের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হয়েছে। চরম ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সম্প্রতি জাতিসংঘের যেসব প্রতিবেদন এসেছে তার ভিত্তিতে ১১ হাজার জনকে এরই মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি আরও ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।