চুল পড়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ প্রতিটি চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবার গজায়। কিন্তু যখন চুল বেশি মাত্রায় পড়া শুরু করে তখনই এটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে যখনই কোনো ঋতু পরিবর্তনের সময় আসে তখনই চুল একটু বেশি পড়ে। শীতের শুরুতে ও বসন্তের শুরুর দিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। তবে এক্ষেত্রে চুল আবার গজাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ ছাড়া মানসিক চাপ, বড় কোনো রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথার ত্বকে চর্মরোগ, ঘুম কম হওয়া, যথাযথ পুষ্টির অভাব, হরমোনের সমস্যা, বংশগত কারণেও চুল পড়তে পারে। চুলের গঠনগত মূল উপাদান প্রোটিন। তাই প্রথমেই চুলের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন- মাছ, দুধ, দই, মুরগির মাংস, ডিম, বাদাম ইত্যাদি খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যদি কোনো ওষুধ সেবনের জন্য চুল পড়ে সেই ক্ষেত্রে ওই ওষুধ বন্ধ করতে হবে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। একদিন পর পর চুল ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং কন্ডিশনার লাগাতে হবে। যাদের চুলে খুশকি আছে সেই ক্ষেত্রে প্রথমে খুশকির চিকিত্সা করাতে হবে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যাবে না। তবে যাদের দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত চুল পড়ছে সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।