বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফররত প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে একথা জানান। খবর: বাসস।
তিনি বলেন, পলাতক আসামি তারেক রহমানকে তার অপরাধের জন্য অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সরকার তারেককে দেশে ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারেকের মতো সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অবশ্যই একদিন তাকে দেশে ফিরিয়ে নেব।
তিনি বলেন, ব্রিটেন একটি মুক্ত দেশ। যে কেউ এ দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারে। তবে তারেক রহমান তো একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তার অপরাধের জন্য আদালত তাকে সাজা দিয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না- যুক্তরাজ্য কেন একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আশ্রয় দিয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্ট একটি দুর্নীতি মামলায় তিন বছর আগে তারেককে সাত বছরের সাজা দিয়েছে। এছাড়া কয়েকটি মামলায় তারেকের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। কয়েকটি ফৌজদারি ও দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে। এই পলাতক আসামিকে কী করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হলো?
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাগারে নির্যাতনের শিকার তারেক রহমান সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে ২০০৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
ওই দিনই খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান করে বিএনপি।