আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কারাবন্দিদের মামলায় যথাসময়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনগত সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পুর্নবাসন প্রক্রিয়া গ্রহণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করার জন্য আধুনিক কারা আইন ও পরিবর্ধিত কারাবিধি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে বিনা বিচারে কেউ যেন কারাগারে আটক না থাকে ও মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তার এই নির্দেশনার আলোকে সকল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ করে কারাবন্দিদের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শনিবার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. জাফরুল হাসান।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য নির্ভর করছে জনসচেতনতার উপর। কারণ এখনও এদেশের জনগণের একটি অংশ দরিদ্র ও নিরক্ষর। এই দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগণ তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে ততটা সচেতন নয়। তাই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এছাড়া দেশের সকল বিচারক, আইনজীবী, এনজিওকর্মী ও সুশীল সমাজকে সরকারের আইনগত সেবা প্রদান কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্ততা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে উন্নত বিশ্বের মত আমাদের দেশেও আইনি পরামর্শের জন্য টোল ফ্রি জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে আইনি সেবা নিতে পারছেন যে কেউ।