দলবদল নিয়ে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন ব্রাজিলীয় ফুটবল সুপারস্টার নেইমার বলেছেন, ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেইতেই (পিএসজি) থাকবেন তিনি।
সাওপাওলোতে নিজের চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের একটি নিলাম কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে নেইমার সাংবাদিকদের বলেন,‘ আমি আছি। আমি প্যারিসেই থাকছি। আমার একটি চুক্তি রয়েছে।’
গত বছর বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে যোগ দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় বনে যাওয়া এই ব্রাজিলীয় সুপার স্টার পরবর্তীতে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাচ্ছেন বলে গুজব উঠেছে। তবে ২৬ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে কোন আগ্রহ নেই উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা।
তারপরও পর্তুগাল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আকষ্মিকভাবে জুভেন্টাসে চলে যাওয়ায় নেইমারের বার্নব্যুতে যাওয়ার বিষয়টি আবার আলোচনায় চলে আসে। কারণ এর ফলে মাদ্রিদে একজন অভিজাত সুপার স্টার খেলোয়াড়ের পদ খালি হয়েছে।
গত সপ্তাহে রিয়াল মাদ্রিদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘ পিএসজি তারকা নেইমার জুনিয়রকে নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে রিয়াল মাদ্রিদ এফ সি স্পস্ট করে জানিয়ে দিচ্ছে যে ক্লাবটি তার বিষয়ে কোন আগ্রহ প্রকাশ করেনি এবং ওই খেলোয়াড়ের জন্য কোন প্রস্তাব পাঠায়নি। দুই ক্লাবের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। কোন কারণে যদি পিএসজির কোন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন হয় তাহলে রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমেই সেটি ক্লাবটিকে জানাবে।’
বৃহস্পতিবার নেইমারও জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি প্যারিসেই থাকছেন। তারপরও নেইমারের ক্লাব পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেনা গণমাধ্যমগুলো। গতকাল ব্রিটিশ মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেইমারকে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়ে পিএসজি তাদের দরজা খুলে দিয়েছে।
মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ বলেছেন, রোনালদোর বিদায়ে তাদের ক্লাবটি সেই ঘাটতি পুরনে বদ্ধপরিকর। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেন,‘ রিয়ালের দারুন একটি স্কোয়াড রয়েছে। অসাধারণ খেলোয়াড়ের সন্নিবেশ ঘটিয়ে সেটিকে আরো শক্তিশালী করতে চায়। প্রতিটি মৌসুমেই আমরা দলের প্রয়োজন মিটিয়ে সেটির অবস্থান ধরে রাখি। আমরা রিয়াল মাদ্রিদ। আমরা সব সময় আরো কিছু চাই। ভবিষ্যতেও আমরা দলের সামর্থ্য একই পর্যায়ে বলবৎ রাখতে চাই।’
বেলজিয়ামের বিশ্বকাপ তারকা চেলসির এডেন হ্যাজার্ডকে দলে ভেড়ানোর জন্যও যোগাযোগ শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। হ্যাজার্ড নিজেও লন্ডনের ক্লাবটি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।