বল টেম্পারিং-এর দায়ে নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যাশিং ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ডারউইনে নর্দার্ন টেরিটোরি স্ট্রাইক লিগে ৩২ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। এ ম্যাচ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব ক্রিকেট ফিরলেন ওয়ার্নার। এ ম্যাচের পরই নিজের লক্ষ্যের কথা জানান ওয়ার্নার। আগামী বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নিজের প্রস্তুতি শুরু করেছেন ওয়ার্নার।
গেল মার্চে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিং করেন অস্ট্রেলিয়ার তরুন খেলোয়াড় ক্যামেরন বেনক্রফট। তাকে বল টেম্পারিং-এর জন্য বেনক্রফটকে উৎসাহ দেন ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে বেনক্রফট-স্মিথ ও ওয়ার্নারকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া আসরে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ফলে নিষিদ্ধ হবার পর ক্রিকেট থেকে দূরেই ছিলেন ওয়ার্নার।
গেল মাসে কানাডায় গ্লোবাল টি-২০ লিগ দিয়ে আবারো ক্রিকেট ব্যাট হাতে তুলে নেন ওয়ার্নার। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজের প্রস্তুতি শুরু করেছেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার খেলতে নেমে ওয়ার্নার বলেন, ‘যখন সতেজ থাকি, তখন খুব ভালো থাকি। আপনি যদি গত ১২ মাসের দিকে দেখেন, আমি প্রত্যকটি ম্যাচই খেলেছি (অস্ট্রেলিয়ার হয়ে) এবং কোন বিশ্রাম নেইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের আগে মাত্র পাঁচ দিন বিশ্রামের সময় পেয়েছিলাম এবং আমি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম ত্রিদেশীয় সিরিজে ও নিউজিল্যান্ডে। যখন অন্যান্য খেলোয়াড়রা বিশ্রামে ছিলো। তাই আমি জানতাম বিরতিটা আমার জন্য ভালো হবে এবং খুব দ্রুত ফর্ম হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা নেই।’
আগামী বছরের জুনে ইংল্যান্ডের মাটিতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ওই বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদি ওয়ার্নার। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে বেশক’টি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও
(আইপিএল) খেলব আমি। তাই ক্রিকেট খেলার ভালো সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথে বিশ্বমানের সব খেলোয়াড়দের সাথে প্রতিন্দন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবো। এতে আমার প্রস্তুতি ভালোভাবে হবে।’
আগামী মাস থেকে শুরু হবে ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। আসন্ন আসরে সেন্ট লুসিয়া স্টার্সের হয়ে খেলবেন ওয়ার্নার।