ফ্রান্সের তারুণ্যনির্ভর দলটির বিশ্বকাপ জয়ে তরুণ তারকা কিলিয়ান এম্বাপেদের রোল মডেল হিসেবে কাজ করেছেন পল পগবা, এমনটাই মনে করেন বিশ্বকাপ জয়ী কোচ দিদিয়ের দেশ্যম।
অথচ টুর্নামেন্টের শুরুতে পগবাকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রায়ই বিতর্কের জন্ম দিয়ে পগবা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। কিন্তু ফ্রেঞ্চ দলকে ড্রেসিং রুমে উজ্জীবিত করে তুলতে পগবাই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বলে বিশ্বকাপের পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে।
১৯৭০ সালে ব্রাজিলের কিংবদন্তী দলটির পরে দ্বিতীয় কম বয়সী দল হিসেবে এবার রাশিয়ায় অংশ নিয়েছিল ফ্রান্স। আর সেই দলের শিরোপা জয়ের একেবারে মধ্যমণি হিসেবে কাজ করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার পগবা।
দেশ্যম বলেন, ‘সে মোটেই আমাকে বিস্মিত করেনি। পল এমন একজন খেলোয়াড় যে কথা শুনে। যে সবার আগে দলের কথা চিন্তা করে। আমি তার সাথে অনেক কথা বলেছি। আমাদের দলে ২৫ বছর বয়সী পগবা একজন মধ্যবয়সী খেলোয়াড়। তরুনদের জন্য সে একজন রোল মডেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। সে ২০১৪ বিশ্বকাপ ও ইউরো ২০১৬’এ খেলেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে আগে আমাদের দল নিয়ে সমালোচনা ছিল, এই দলে যোগ্য নেতার অভাব রয়েছে। কিন্তু টুর্নামেন্টের পরে সব কিছু পাল্টে গেছে।’
পগবার নেতৃত্বের গুনাবলী নিয়ে দলের মধ্যে প্রশংসা হলেও এম্বাপেকে নিয়ে পুরো বিশ্বব্যপী আলোচনা হয়েছে। পিএসজির এই টিনএজ স্ট্রাইকার এতটাই মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন যে টুর্নামেন্ট চলাকালীন তাকে ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড পেলের সাথেও তুলনা করা হয়েছে। পেলের পরে দ্বিতীয় কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এম্বাপে।
দেশ্যম বলেছেন, দেড় বছর আগে কেউ জানত না সে কে। অথচ এখন সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। অন্যরা যা পারেনি এমবাপে তাই করে দেখিয়েছে। তারপরেও সে তার পা মাটিতেই রেখেছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সে অনেক বেশী পরিনত। দলের বড়দের প্রতি সে সেবসময়ই সম্মান দেখিয়েছে। তাকে দলে পেয়ে আমি দারুন খুশী।
এম্বাপের পাশপাশি চেলসি মিডফিল্ডার এন’গোলো কান্টের খেলাও দারুনভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের সাথে সমান তালে লড়াই করে তিনি ফ্রান্সকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। দেশ্যম বলেছেন, কান্টে বেশ শান্ত প্রকৃতির একজন খেলোয়াড়। কিন্তু টুর্নামেন্টে সে দলের প্রাণ ছিল। তাকে দলে পেয়ে আমি মধ্যমাঠ নিয়ে স্বস্তিতে ছিলাম। বাসস।