বাজারে সহজলভ্য সবজি বা ফলের মধ্যে টমেটো অন্যতম। আমাদের সবার বাসায় কম বেশি এ সবজিটি পাওয়া যায়। সালাদের উপকরণ হিসাবে টমেটোর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। এছাড়া তরকারিতে যোগ করে বাড়তি স্বাদ।এসব সুবিধার পাশাপাশি টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি ও খনিজ পদার্থ। বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেনে সমৃদ্ধ টমেটো চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টমেটো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। স্বাস্থ্যজ্জল ত্বকের জন্যও এটি বেশ উপকারী। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ টমেটো দেহের রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
মূলত ওজন কমানোর উপকরণ হিসাবে টমেটো তুলনাহীন। টমেটোর রস পানের মাধ্যমে শরীরের মেদ কমানো সম্ভব। কীভাবে মাত্র এক গ্লাস টমেটোর রস মেদ ঝরাতে সহয়তা করে তা দেখে নেওয়া যাক-
১। কম ক্যালরি সমৃদ্ধ- টমেটোর রসে ক্যালরির পরিমান খুব কম। একটি ১০০ গ্রাম টমেটোতে মাত্র ১৭ গ্রাম ক্যালরি থাকে। এতে মূলত পানির পরিমাণ বেশি থাকে। একটি টমেটোতে প্রায় ৯৪ শতাংশ খালি পানিই থাকে। তাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২। শরীরের মেটাবলিজম জোরদার করে- টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকপেনে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, চোখ ও ত্বকের সুরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।গবেষণায় দেখা যায়, লাইকোপেনে প্রাকৃতিকভাবে মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর ফলে শরীরের মেদ ঝরে ওজন দ্রুত কমে।
৩। ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ- টমেটো মূলত একটি আঁশ সমৃদ্ধ ফল। তাই এটি হজম প্রক্রিয়ায় রাখে ব্যাপক ভূমিকা। দ্রুত ফলাফল পেতে টমেটো রস করে তা কাঁচা খাওয়া ভাল।
৪।অ্যামাইনো এসিড তৈরি করে- গবেষকদের মতে, টমেটো শরীরে কারনিটাইন নামক একটি অ্যামাইনো এসিড তৈরি করে যা শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
টমেটোর রস তৈরির পদ্ধতি- বাজার থেকে কেনা টমেটোর রস পান না করাই ভালো। তার কারণ এতে থাকে প্রিজারভেটিভস যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। টমেটো কিনে তা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পরিস্কার পাত্রে টমেটো গুলো ভালভাবে থেতলে নিতে হবে। ছাকনির সাহায্যে থেতলানো টমেটোর রস বের করে নিতে হবে।
এছাড়া ব্লেন্ডার মেশিনের সাহায্যে টমেটোর রস তৈরি করা সম্ভব। চাইলে স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য পরিমানে লবন দেওয়া যেতে পারে। দ্রুত ফলাফলের জন্য টমেটোর রস প্রতিদিন পান করতে হবে।