সারা ক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখা যে মারাত্মক ক্ষতিকর, তা আমরা প্রায় সকলেই জানি। রাস্তা-ঘাটে একাধিক দুর্ঘটনার জন্য দায়ি এই হেডফোন। তাছাড়া সারা ক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখলে ক্রমে শ্রবনশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। সারা ক্ষণ হেডফোন ব্যবহারের ফলে অকালেই বধির হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু উপায় কী! ব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ থেকে খানিকটা মুক্তি পেতে অনেকেই কানে হেডফোন দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গান শোনেন। তবে কিছু নিয়ম মেনে হেডফোন ব্যবহার করতে পারলে কান আর জীবন— দুটোই বাঁচানো সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু কৌশল যা আপনার জীবন আর শ্রবনশক্তি— দুটোই বাঁচাতে পারবে।
১) ইয়ারফোনে কখনওই সর্বোচ্চ ভলিয়্যুমে গান বা কোনও কিছু শুনবেন না। এতে কানের পর্দার খুব ক্ষতি হয়। ইয়ারফোনের মাধ্যমে এই আওয়াজ সরাসরি কানে প্রবেশ করে। তাই এ বিষয়ে বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করুন।
২) বাইরে বেরিয়ে গান শুনতে হলে, তা শুনুন যানবাহনে যাত্রার সময় বা এক জায়গায় বসে। পথে-ঘাটে হাঁটা চলার সময় বা রাস্তা-লাইন পেরনোর সময় কখনওই ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না। যানবাহনে যদি আপনি চালকের আসনে থাকেন, সেক্ষেত্রে কানে ইয়ারফোন লাগাবেন না। এতে মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া আসেপাশের গাড়ির হর্নও আপনি শুনতে পাবেন না। এতে বিপদ হতে পারে।
৩) একটানা আধ ঘণ্টার বেশি ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করবেন না। মোবাইলে কোনও সিনেমা দেখতে হলে আধ ঘণ্টা অন্তর মিনিট খানেকের বিরতি নিন। অন্তত পাঁচ থকে দশ মিনিট বিশ্রাম দিন কানকে।
৪) যে সংস্থার মোবাইল ব্যবহার করছেন, ঠিক সেই সংস্থার, সেই মডেলটির ইয়ারফোনই ব্যবহার করুন। প্রতিটি সংস্থা তাদের নির্দিষ্ট মডেলের জন্য নির্দিষ্ট ইয়ারফোন তৈরি করে। আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে ইয়ারফোন খারাপ হলেই আমরা বাজারচলতি সস্তা ইয়ারফোন কিনে নিই। এ সব কানের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই ইয়ারফোন খারাপ হলে উক্ত সংস্থার ঠিক ওই মডেলেরই ইয়ারফোন কিনে ব্যবহার করুন। কারণ, ফোন থেকে বেরনো রশ্মির তরঙ্গ, কম্পন ইত্যাদির উপর অঙ্ক কষেই ইয়ারফোনের তরঙ্গ তার ক্ষমতা ইত্যাদি ঠিক করা হয়।
সূত্র- জি নিউজ