শ্রীলংকার বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্যে পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকতে স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা একথা জানান। খবর এএফপি’র।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপল সিরিসেনা। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নিয়োগ দেন। গতকালই রাজাপাকসে শপথ বাক্য পাঠ করেন। বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে।
বিক্রমাসিংহে দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সুরিয়াকে জরুরি অধিবেশন ডাকার কথা বলেছেন। যদিও আগামী ৫ নভেম্বর বাজেট বিতর্কের জন্যে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসবে।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে চান।’
শ্রীলংকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রনিল বিক্রমসিংহের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলো না। গত কয়েক মাস ধরে তাদের দুইজনের দ্বন্দ্বে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। দ্বন্দ্বের জের ধরে বর্তমান জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। এরপরই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বহিষ্কার করলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
২০১৫ সালের নির্বাচনে রাজাপাকসেকে পরাজিত করেছিলেন সিরিসেনা। পরাজিতরা একে ‘ভারত সমর্থিত অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করেন।