কর্তৃত্ববাদী সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে ও বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে উভয়ই এখন শ্রীলংকার বৈধ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি করছেন। এ অবস্থায় সাবিধানিক সংকটে পড়েছে ভারত মহাসাগরীয় দেশটি।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপল সিরিসেনা। বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে।
বরখাস্ত হওয়ার পর রনিল সিংহ দাবি করেন, সংসদ ছাড়া অন্য কেউ তাকে বরখাস্ত করতে পারেন না। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘টেম্পল ট্রিজ’ ছাড়বেন না বলেও জানান তিনি। দাবি জানান, সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাচাই করার। কিন্তু এসবে কর্ণপাত না করে উল্টো সংসদও ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘টেম্পল ট্রিজ’ ছাড়বেন না বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে
২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে জোট সরকার গঠন করে সিরিসেনার দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স এবং রনিল বিক্রমসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি করে নেন তারা। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই মতবিরোধে জড়িয়ে পড়ে উভয় দল।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, গত কয়েক মাস ধরে শ্রীলংকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রনিল বিক্রমসিংহের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলো না। তাদের দুইজনের দ্বন্দ্বে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর জেরে বর্তমান জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। এরপরই ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি হতে আসা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বহিষ্কার করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
২০১৫ সালের নির্বাচনে রাজাপাকসেকে পরাজিত করেছিলেন সিরিসেনা। পরাজিতরা একে ‘ভারত সমর্থিত অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করেন। আর ২০১৮ সালে পুনরায় তাকেই প্রধানমন্ত্রী করলেন সিরিসেনা।