• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

বিপিএলে ফিরছেন আশরাফুল

আপডেটঃ : সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

তখনও ‘ভাইরাল’ শব্দটির সঙ্গে গোটা বাংলাদেশের এত পরিচিতি ছিল না। পাঁচ বছর আগে, ২০১৩ সালে মে মাসের কোনো বিকেলে মোহাম্মদ আশরাফুলের ‘কান্নার’ ছবি মুহূর্তেই বাতাসের বেগে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ের স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আশরাফুল, আকসুর কাছে। পরে যাদের আকণ্ঠ ভালোবাসায় নিমজ্জিত ছিল তার ক্যারিয়ার, সেই দেশবাসীর সামনে অপরাধ স্বীকার করতে গিয়েই অঝোর ধারায় কেঁদেছেন তিনি। সেই অপরাধের দায়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন আশরাফুল। শাস্তির পূর্ণ মেয়াদ শেষে এবার আবারও বিপিএলের দুয়ারে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। গতকাল বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ড্রাফটে আশরাফুলকে দলে টেনেছে চিটাগং ভাইকিংস। গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে তিনি বলেছেন, জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিপিএল বড় সুযোগ। তার আশা, অতীত ঘটনা প্রভাব ফেলবে না নিজের পারফরম্যান্সে। তবে বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অপরাধ মৃত্যুর পরও তার পিছু ছাড়বে না। একটা প্রশ্ন সবসময়ই তাড়িয়ে বেড়াবে তার নামকে।
চিটাগংয়ের তাঁবুতে আশরাফুলের সতীর্থ এবার মুশফিকুর রহিম। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বিপিএলে সুযোগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বলেছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। কারণ এটা আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে কাজে লাগবে। যেহেতু আমার স্বপ্ন আছে যে, আবার বাংলাদেশ দলে খেলবো। এখানে ভালো করলে কাজটা সহজ হবে আর কি।’
চলমান জাতীয় লিগে ব্যাট হাতে খুব ভালো সময় কাটছে না আশরাফুলের। তারপরও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার আশাবাদী ছিলেন বিপিএলে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আশাবাদী ছিলাম। সিলেট থেকে হয়তোবা ডাকবে আভাস পেয়েছিলাম। তবে ভালো লাগছে যে চিটাগংয়ে সুযোগ পেয়েছি। আমি আগে থেকেই চাইতেছিলাম চিটাগংয়ে সুযোগ হলে আমার জন্য ভালো। কারণ এখানে আমার সুযোগটা বেশি থাকবে খেলার। সবমিলিয়ে ইতিবাচক ছিলাম।’
তিন আসর বিরতির পর বিপিএল খেলতে নামবেন আশরাফুল। তিনি মনে করেন, ফিক্সিংয়ের সেই ঘটনা সবসময় তার নামের সঙ্গে লেপ্টে থাকবে। তখন আশরাফুলের সঙ্গে তার দল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসও নিষিদ্ধ হয়েছিল। গত ১৩ আগস্ট শেষ হয় তার পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞার পূর্ণ মেয়াদ। তার আগে ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনমুতি পেয়েছিলেন তিনি।
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এগুলো আসলে থাকবেই। একটা প্রশ্ন থাকবেই। মরার আগ পর্যন্ত বা মরার পরও এই প্রশ্ন থাকবেই। যে ঘটনার জন্য বাদ পড়ছি, এটা থাকবেই যতদিন বেঁচে থাকবো।’
অবশ্য আশরাফুল আশাবাদী, নিজের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না ফিক্সিংয়ের সেই কলঙ্কিত ঘটনা। তিনি বলেন, ‘এগুলো আমার মাথায় আসবে না। আশাকরি প্রভাব ফেলবে না। আমি তো ইতোমধ্যে দুই বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেছি। এই দুই বছরে ওসব যে সমস্যা একরকম তো কাটিয়ে উঠছি আল্লাহর রহমতে।’
গত মৌসুমে ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কলাবাগানের হয়ে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন আশরাফুল। এবার টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাট কতটা জ্বলে উঠতে পারে, সেটি দেখতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে থাকবে আশরাফুল ভক্তরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ