ষ্টাফ রিপোর্টার :ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিও জয় দিয়ে শুরু করল টাইগাররা। বৃহস্পতিবার মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নাসুম আহমেদের বিষাক্ত স্পিনে আফগানদের ৬১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
টাইগারদের দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭.৪ ওভারে ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। বল হাতে নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে ১০ রানে একাই নেন চার উইকেট। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ৩.৪ ওভারে ২৯ রানে নেন তিন উইকেট। সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ১৮ রানে নেন দুটি।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় আফগানদের। বল হাতে ঘূর্ণিজাদু দেখিয়ে টানা ৪ উইকেটে একাই তুলে নেন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারেই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে (০) বিদায় করেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তার শিকার হন হজরতল্লাহ জাজাই (৬) ও দারউইশ রসুলি (২)। এই তিনজনকে মাত্র ২ রান খরচেই বিদায় করেন নাসুম।
এরপর এই বাঁহাতি স্পিনার নিজের তৃতীয় ওভারে আরও ৫ রান খরচ করে তুলে নেন চতুর্থ উইকেট। ওভারের তৃতীয় বলে আফগান ব্যাটার করিম জানাত মেহেদীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অবশ্য আরও এক উইকেট পেয়েছিলেন নাসুম। পরের বলেই লেগ বিফোরের আবেদন করলে মোহাম্মদ নবিকে আউট দেন আম্পায়ার, কিন্তু রিভিও নিয়ে বেঁচে যান আফগান অধিনায়ক। রিভিওতে দেখা যায়, বল তার ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লেগেছিল। নাসুমের ঘূর্ণিঝড়ে আফগানরা মাত্র ৮ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট। চতুর্থ উইকেট হারানোর সময় তাদের সংগ্রহ ছিল ২০ রান।
নাসুমের পর আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। ইনিংসের ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে নবিকে (১৬) আফিফের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন বাঁহাতি স্পিনার। এটি সাদা বলে সাকিবের ৪০০তম উইকেট। এরপর নিজের তৃতীয় ওভারে মিডল অর্ডার ব্যাটার নজিবুল্লাহ জাদরানকে (২৭) ফেরান সাকিব। পরের ওভারে রশিদ খানকে ফেরান শরিফুল। এরপর মোস্তাফিজের শিকার হন আরেক সেট ব্যাটার ওমরজাই (২০)। ১৮ত্ম ওভারে বাকি ২ উইকেট তুলে নিয়ে আফগানদের ইনিংস গুঁটিয়ে দেন শরিফুল।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরের শেরে-ই-বাংলায় জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ লিটন অর্ধশতকের উপর ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৫৫ রান। লিটন করেছেন ৪৪ বলে ৬০। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম দেড়শ ছাড়াতে পারল বাংলাদেশ দল।