দাপটের সঙ্গে ২০২৩ সালে ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। ভারত, ইংল্যান্ডের পর আইরিশদেরও নাস্তানাবুদ করেছেন টাইগাররা। এই বাংলাদেশ যেন বদলে যাওয়া এক দল। আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর। প্রতিপক্ষকে তুলাধোনা করে দিচ্ছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই দুর্দান্ত। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে সাকিব আল হাসানের কম বোলিং করা নিয়ে যথেষ্ট ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে।
টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৫ ওভার পর্যন্ত বোলিং করেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। অথচ অপরপ্রান্তে ততক্ষণে তাইজুল ইসলাম ২২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট নেন। মিরাজ ১৪ ওভার বোলিং করে নেন ২ উইকেট। সেখানে সাকিব না আসায় বিস্ময় ছড়ায়। পরবর্তীতে বোলিংয়ে এসে করেন কেবল ৩ ওভার।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারেই বল হাতে তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার। টানা সাত ওভার বোলিং করে তুলে পান ২ উইকেট। তৃতীয় দিনের সকালেও আসেন আক্রমণে। কিন্তু ৩ ওভার বোলিংয়ের পর নিজেকে সরিয়ে নেন। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি।
প্রথম ইনিংসে সাকিবের পর্যাপ্ত বোলিং না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম। পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডও সাকিবের বোলিং না করার কারণ জানেন না বলে দাবী করেছেন। উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, ‘প্রশ্নটি আপনাদের জন্যই রেখে গেলাম সাকিবকে করার জন্য।’
শুক্রবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাকিব। অবধারিতভাবেই সাকিবের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে। নিজ ব্যাখ্যা সাকিব বলেছেন, ‘নাহ… ওরকম তো কোনো ব্যাখ্যা নেই। বোলিং কাউকে করতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার কাছে ৫-৬ রকমের অস্ত্র থাকলে সব অস্ত্র সবসময় ব্যবহার করার দরকার নেই তো।’
সাকিব নিজের থেকে সতীর্থদের ওপরই বেশি ভরসা রাখলেন। সঙ্গে প্রশ্ন রাখলেন, ‘এটার মানে কি যে আমি ছাড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমাদের যথেষ্ট বোলার আছে ২০ উইকেট নেওয়ার মতো এবং আমার ওদের প্রতি বিশ্বাস আছে। ওরা সেটা করে দেখিয়েছে। বিশেষ করে এমন একটি জায়গায় খেলা হয়েছে, যে ধরনের পিচে আমরা বেশি খেলি না। প্রথম ৩ দিনে খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল। মিরপুরে সাধারণত ৩ দিন এত ভালো ব্যাটিং উইকেট থাকে না। এমনকি আজকেও অনেক ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল।’