ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বিজেপির একমাত্র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কর্ণাটক রাজ্য। সেখানে আজ শনিবার বিধানসভার নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে কংগ্রেসের ১৩০টি আসনে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পরই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বসভরাজ বোমাই।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কর্ণাটকের আজকের নির্বাচনে এই প্রতিবেদনে লেখার সময় পর্যন্ত ৬০ টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে জনতা দল (জেডিএস) ২০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৩৮টি আসনে।
চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগেই পরাজয় স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বসভরাজ বোমাই সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) ও বিজেপির কর্মীদের প্রাণপণ চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা খুব একটা ভালো ফল করতে পারিনি। সম্পূর্ণ ফলাফল আসার পর আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত বলব। এদিকে কংগ্রেস জরুরি সভা ডেকেছে এবং কংগ্রেসের সমস্ত বিধানসভার সদস্যদের বেঙ্গালুরুতে জড়ো হতে বলেছে। কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ‘কীভাবে জয়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে সে ব্যাপারে আমরা প্রার্থীদের ব্রিফ করব। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
জনতা দলের (সেক্যুলার) নেতা এইচডি কুমারস্বামী বলেছেন, ‘আমি একটি ছোট দলের নেতা। আমার কোনো দাবি নেই। আমি শুধু একটি ভালো উন্নয়ের আশা করতে পারি।’
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় নেতারা কর্ণাটকে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালিয়েছিলেন। কর্ণাটকে তিনি ১৯টি জনসভা ও ছয়টি পথসভা করেছিলেন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ১২ দিন ধরে কর্ণাটকে প্রচারাভিযান চালিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কর্ণাটকে বিজেপি ১০৪টি, কংগ্রেস ৮০টি ও জেডিএস ৩৭টি আসনে জিতেছিল।
চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতের আরও তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেসব নির্বাচনে কর্ণাটকের এই ফল প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে কংগ্রেস। দলটি আশা করছে, ভবিষ্যতে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের নির্বাচনেও কংগ্রেস জয়ী হবে।
আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিধানসভার এসব ফল বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট সংখ্যা ২০১৮ সালের তুলনায় খুব একটা কমেনি।
এদিকে দক্ষিণের এ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিজয়ের পর বেঙ্গালুরু ও দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে শুরু হয়েছে উৎসব।