তামাকজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন ৪৫০ জন মানুষ মারা যান বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। এছাড়াও এ রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ‘গণপরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্তকরণ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রচারণা চালাতে হবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান।
তিনি বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যানসার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। পাশাপাশি তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় সরকারের প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়, যা একটি দেশের উন্নয়ন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে। তাই তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য দ্রুত বিদ্যমান আইনটি সংশোধন করতে হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান আটটি কারণের ছয়টির সঙ্গেই তামাক জড়িত। তামাকের এ সর্বগ্রাসী ক্ষতি প্রতিরোধে ২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্যের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে। ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনে। তারপরও আইনটিতে বেশকিছু দুর্বলতা রয়েছে গেছে। তাই দ্রুত আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন।
সভায় অ্যান্টি-টোব্যাকো প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর লাইলুন নাহার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. ওয়ালিউল্লাহ নোমান, জুনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার ফাতিমা-তুজ-জোহরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।