ইউক্রেনকে যদি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হয়, তাহলে তা ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য ‘বড় ধরনের ঝুঁকি’ তৈরি করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (২০ মে) কিয়েভকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার গ্রুসকো এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
শুক্রবার (১৯ মে) জাপানের হিরোশিমায় আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যেসব মিত্র দেশের কাছে চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আছে, তারা চাইলে সেগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারবে।
রুশ বার্তাসংস্থা টাস নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, শনিবার (২০ মে) যুদ্ধবিমান দেওয়া নিয়ে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ কঠোর হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, আমরা দেখছি, পশ্চিমা দেশগুলো এখনো যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে। এটি তাদের জন্যই বড় ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্মতি আমাদের সব পরিকল্পনার মধ্যে রাখা হবে ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অবশেষে তার সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে কবে, কখন বা কোন দেশ ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবে সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে কিছুটা দ্বিধা ও সংকোচ করছে। কারণ তাদের আশঙ্কা, বিমান দিলে যুদ্ধ ইউক্রেনের বাইরে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।