দেশের যদি উপকার হয়, দেশ যদি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায় তাহলে ‘মাইনাস-ইমরান’ ফর্মুলার জন্য প্রস্তুত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ভাষণ দেন। বরাবরের মতোই এদিনও তিনি তাকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সহিংসতার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তার দাবি, দাঙ্গাকারীরা এটা সুপরিকল্পিতভাবে করেছে শুধু তার দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)কে ধ্বংস করতে।
তিনি দাবি করেন, একটি মাত্র দলকে নিমর্ূূল করতে সরকার পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইমরান খান ওই ভাষণে বলেন- মাইনাস ইমরান। কিন্তু আমাকে বলতে হবে তাতে দেশ কিভাবে উপকৃত হবে। ক্ষমতাসীন জোট জানে যে জাতীয় নির্বাচনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এজন্য তারা সাবেক ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
৯ই মে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে। এর ফলে পুরোদিন সহিংসতা হয় পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে। তাতে নিহত হন কমপক্ষে ১০ জন মানুষ।
এদিন পুড়িয়ে দেয়া হয় পেশোয়ারে রেডিও পাকিস্তানের অফিস। হামলা হয় ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে সেনা কর্মকর্তাদের বাসায়। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এসব বিষয়ে ইমরান খান প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন পিটিআই কর্মীরা প্রতিবাদ করছিলেন তখন কেন পেশোয়ারে রেডিও পাকিস্তান অফিসে আগুন দেয়া হলো। লাহোরে কোর কমান্ডার হাউজে ভাংচুর করতে জনগণকে কারা উস্কানি দিলো? আর তারপরই সে বা তারা অদৃশ্য হয়ে গেল!
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নেতৃত্বাধীন সরকার তখনই নির্বাচন দিতে চায়, যখন পিটিআইকে ধ্বংস করে দেয়া হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছিলেন, নির্বাচন হবে অক্টোবরে। এ নিয়ে ইমরান খান প্রশ্ন করেন- অক্টোবরে কি আমাদের অর্থনীতি ভাল হবে? মুদ্রাস্ফীতি অদৃশ্য হয়ে যাবে? অক্টোবরে নির্বাচন দেয়ার ফলে দেশের কি উপকার? তিনি দাবি করেন একটিমাত্র রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করতে গিয়ে সরকার পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ তারা মানছে না। বাড়ি বাড়ি প্রবেশ করছে পুলিশ। ৯ই মে তার দল সহিংসতা করেছে, এ অভিযোগ মানতে নারাজ ইমরান খান।