যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ সীমা বাড়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবলিকান দলের সর্বোচ্চ নেতা মার্কিন হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি আবারও ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ সীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাড়াতে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ঋণ খেলাপির সম্মুখীন হতে হবে ওয়াশিংটনকে। সোমবার (২২ মে) এ বিষয়ে বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বাইডেন-ম্যাকার্থি।
সাংবাদিকদের ম্যাকার্থি বলেন, আমার বিশ্বাস, দ্রুতই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো আমরা।’ তবে মতবিরোধের বিষয়টি স্বীকার করে বাইডেন বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
ঋণ সীমা হলো যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নির্ধারিত ঋণের সর্বোচ্চ সীমা। সরকারের ঋণ নেওয়ার সীমা নির্ধারণের জন্য এ ঋণ সীমা প্রণয়ণ করে কংগ্রেস। বর্তমানে দেশটির ঋণ সীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, জুনের মধ্যে এ বাড়াতে পারলে অথবা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ খেলাপি হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
ম্যাকার্থির নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান দলের দাবি, ঋণ সীমা বাড়ানো হলে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বার্ষিক ব্যয় কমাতে হবে। তবে তাদের এ শর্তে রাজি নয় বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল। যথারীতি ব্যয় চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে কথা বলছেন বাইডেন।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন বলছেন, কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছাতে পারলে ১ জুনের মধ্যে ঋণ খেলাপির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, কংগ্রেস ঋণ সীমা বাড়াতে ব্যর্থ হলে তা মার্কিন পরিবারগুলোর জন্য মারাত্মক কষ্টের কারণ হবে।
ম্যাকার্থি বলেন, এখনও কোনও চুক্তি হয়নি আমাদের। তবে আমার মনে হয় আমাদের মতবিরোধের ক্ষেত্রে এ আলোচনাটি বেশ ফলপ্রসূ হবে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এখন থেকে প্রতিদিনই বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা চলবে।
ঋণ খেলাপির মুখোমুখি হলে বাইডেন প্রশাসন আর কোনও ঋণ নিতে পারবে না এবং সব অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে এর প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান আলোচনা নিয়ে এখন কিছুটা আশাবাদী হোয়াইট হাউজ। তবে দুই পক্ষ কত দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে তা এখনও অস্পষ্ট। চুক্তি অনুমোদনে কংগ্রেসকে পর্যাপ্ত সময় দিতে এ সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ম্যাকার্থি। চুক্তি লেখা, কংগ্রেসে পাঠ করা ও এর ওপর ভোট হতে প্রায় ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন তিনি।