গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেছেন, এই সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে চাই, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আগেও হয়েছে এখনো হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে সুষ্ঠু, সুন্দর একটি নির্বাচন করতে চাই। কেন্দ্রের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল ডিউটি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। এটা একটা সমন্বিত প্রয়াস। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মাধ্যমে যেন গাজীপুরের সিটির জনগণকে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট উপহার দিতে পারি সেটা নিশ্চিত করব।
আজ বুধবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, জনগণ আসবে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে ভোট দিয়ে যেন যাতে চলে যেতে পারে। পুরো গাজীপুরসহ সারা বিশ্বের লোকজন তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে, আমরা দেখিয়ে দিতে চাই।
কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত সুন্দরভাবে আছি। আগামীকাল (২৫ মে) নির্বাচনের দিন আপনারা যাতে সুন্দরভাবে জাতি ও দেশবাসীকে জানাতে পারেন সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব। সিটি নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং ৩৫১টি কেন্দ্রে আমরা আলাদাভাবে গুরুত্ব দেব।
নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যদের উদ্দেশে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে। যেকোনো বিষয়ে যোগাযোগ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্রে ঝুঁকি আছেন কি না, এসব বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যখন ভোট শুরু হবে সবাই যাতে লাইনে দাঁড়াতে পারে, কেউ যেন পেশি শক্তির ব্যবহার ও মাস্তানি করতে না পারে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। ভোটার ও জনগণের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। সবাইকে সাহায্য করবেন।
এই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনসহ সব বাহিনী মিলে সিটি নির্বাচনকে সফল করার জন্য কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনসহ সবার একটাই চাওয়া, যেন কমিশনকে সহযোগিতা করে। সবার সহযোগিতায় আমরা যেন গাজীপুরে মডেল নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারি। সিটি নির্বাচনে পাঁচ স্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে গাজীপুরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রে এজেন্ট বিষয়ে করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনারা যে রকম আশঙ্কা করছেন সবগুলো বিষয়ে আমাদের নজরে আছে। এগুলো মাথায় রেখে আমরা সবকিছু পরিস্থিতি বিবেচনা করছি এবং সেভাবেই আমরা কাজ করছি। যদি এ ধরনের কোনও ঘটনা আমাদের নজরে আসে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিএমপির উপকমিশনার (এসবি) আবুল বাশার মো. আতিকুর রহমান জানান, পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য, ৯৬০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন, চার হাজার ৮০০ গ্রাম পুলিশ, ৫৭টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২০ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
নিরাপত্তা ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ইলতুৎমিশ, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জিয়াউল হক, বিজিবির মেজর ইকবাল, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুর ইসলাম।