বাংলাদেশ কেন্দ্রিক নতুন ভিসা নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন নীতি ঘোষণার পরপরই ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে সাংবাদিকদের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নীতিটি এই প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্য জারি করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের নেতা বেঁছে নিতে নির্বাচন করতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সব জায়গায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
বার্তাটিতে প্রতিক্রিয়াসহ প্রায়ই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীর একটি সেটও ছিল। যার মাধ্যমে এটি কিছু নির্দিষ্ট বিষয় স্পষ্ট করে, যা সম্ভবত মানুষের মনে উত্থাপিত হতে পারে।
শুরুতে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশী ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশী কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলেছে যে তারা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনী গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কারণ ব্যতীত এই নীতি অন্য কারো পক্ষে পরিচালিত হবে না।
দূতাবাস থেকে আরো বলা হয়, ‘এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলো শুধুমাত্রা তাদের ক্ষেত্রেই, যারা সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে।’
এতে আরো আশ্বস্ত করা হয় যে যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের জানানো একটি সাধারণ অনুশীলন।
বাংলাদেশ সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিবিড় সহযোগিতার’ কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানায়।