যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন তারা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পিটার হাস বলেন, ‘গতকালের (বুধবার) ঘোষণা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি মার্কিন সমর্থনের একটি প্রয়াস।’
বৈঠকটি পূর্বনির্ধারিত এবং নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে দাবি করে পিটার হাস আরো বলেন, নতুন ভিসানীতির বিষয়ে বিবৃতি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের অংশ।
এটি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের সবার জন্য যাতে করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে মার্কিন সরকারের ঘোষণা করা ভিসানীতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। তিন দলের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েও আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতারা কথা বলেছেন।
অন্যদিকে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতিকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই নীতি ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে বড় ধরনের সিগন্যাল।