বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতি অনুযায়ী, ভোটের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না দেশটি। গত ২৪ মে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন জানান, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তার জন্য নতুন এই পলিসির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতাদের এই ভিসানীতির আওতায় নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘নির্বাচনবিরোধী বক্তব্য’ সংযুক্ত করে চিঠি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ. আরাফাত।
শুক্রবার (২৬ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ এ আরাফাতের ফেসবুক পোস্টে আপলোড করা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনাদের সম্প্রতি ঘোষিত ভিসা নীতি অনুসারে (এবং আপনি যে চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন) যেখানে আপনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, এই নীতি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃত প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে এবং যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশি নাগরিক বা যে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তারা যখন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে তখন তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এখানে আমি কিছু ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করেছি, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন যে, বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছেন। আমি আশা করি, আপনার ভিসা নীতি বিএনপির এই নেতাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
মোহাম্মদ এ. আরাফাতকে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে অংশ নিতে দেখা যায়। সবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বৈঠকেও অংশ নেন তিনি।
বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত), বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।