অর্থনীতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষকেরা উপস্থিত ছিলেন, সিপিডি
অকটেন, পেট্রল, ডিজেলসহ জ্বালানি তেলে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি লিটারে এখন ৫ থেকে ১০ টাকার কমানোর সুযোগ আছে বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কেনার পর বর্তমানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতি লিটার ডিজেলে ৫ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেনে ১৩ টাকা মুনাফা করে।
আজ শনিবার অর্থনীতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি। ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল বক্তব্য তুলে ধরেন।
সিপিডি আরও বলেছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এই ৭ বছরে বিপিসি মোট ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে। কর দেওয়ার পর নিট মুনাফা ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। আর এই সময়ে ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা কর দিয়েছে বিপিসি।
এ বিষয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে বেশি ভর্তুকি দিয়েছে। এখানে এখন কিছু করা যেতে পারে। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ে, তখন দেশের বাজারের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তখন স্থানীয় বাজারে দাম কমানো হয় না।
বাংলাদেশে গত আগস্ট মাসে হঠাৎ অকটেন, পেট্রলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৩৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। বৃদ্ধির ওই হার ছিল গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর গ্যাস-বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়। এ ছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্যে বেশি দামে আমদানি করতে হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই প্রভাব পড়ে। বাড়তে থাকে পণ্যমূল্য এবং মূল্যস্ফীতির হার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি একলাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ হয়েছিল।