ভারতের নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন বিরোধীরা।
নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করতে রোববার (২৮ মে) সকাল সোয়া ৭টায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এসময়ে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৪ মে সম্মিলিতভাবে ভারতের ১৯টি বিরোধীদল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দেয়। এই তালিকায় কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়াও আপ, শিব সেনা (উদ্ধব শিবির), আরজেডি, জেডিইউ, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিআইএম-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল রয়েছে।
করোনা মহামারি ও বেহাল অর্থনীতির মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোট ২৪ হাজার কোটি রুপির ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিলেন। নতুন সংসদ ভবন সেই প্রকল্পেরই এক অংশ। সে সময় এ প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা ওঠে। জনস্বার্থের মামলাও হয়েছিল। তবে সব বাধা ডিঙিয়ে, সব আপত্তি অগ্রাহ্য করে গড়ে তোলা হয় নতুন সংসদ ভবন।
কেবল আয়তনের দিক থেকে নয়, স্থাপত্য এবং কারুকার্যের দিক থেকেও নজরকাড়া এই নতুন সংসদ ভবন। সংসদ ভবনের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে দেশটির এক-একটি বিশেষ স্থান থেকে। কার্পেট এসেছে উত্তরপ্রদেশের বিখ্যাত মির্জাপুর থেকে। মেঝে করার বাঁশ আনা হয়েছে ত্রিপুরা থেকে। পাথর নিয়ে আসা হয়েছে রাজস্থান থেকে। বলা যায়, নতুন সংসদ ভবন ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পরিচয় বাহক হয়ে উঠতে চলেছে।
নতুন সংসদ ভবনে চেয়ার, টেবিল থেকে যেসব আসবাব রয়েছে তার পুরোটাই সেগুন কাঠের। আনা হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে। গোটা ভবনে লাল-সাদা পাথরের যে কারুকার্য রয়েছে সেই বেলেপাথর আনা হয়েছে রাজস্থানের সারমাথুরা এলাকা থেকে। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, দিল্লির লালকেল্লা এবং হুমায়ুনের সমাধিতে যে বেলেপাথর ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও রাজস্থানের সারমাথুরার। আবার সংসদ ভবনে কারুকাজে ব্যবহৃত সবুজ পাথর এসেছে রাজস্থানের উদয়পুর থেকে আর লাল গ্রানাইট নিয়ে আসা হয়েছে আজমিরের লাখা থেকে।