• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

কুবিতে গুচ্ছ ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সহ দুটি কেন্দ্রে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে উপস্থিতির হার ৯৬.১৯ শতাংশ।
শনিবার (২৭মে) ১টায় পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের আহ্বায়ক ও ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও বি.এড কলেজ মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩,৩৮৬ জন। এর মধ্যে ১২৯ জন অনুপস্থিত ছিল। মোট উপস্থিতির হার ৯৬.১৯ শতাংশ। পরীক্ষাটি সুষ্ঠভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (বি.এড কলেজ) ঘুরে দেখা যায়, সকল কেন্দ্রেই সুষ্ঠ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে শাখা ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন জেলাভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলোর সহায়তায় পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বুথ বসানো হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য ছিল শাখা ছাত্রলীগের জয় বাংলা বাইক সার্ভিস। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তায় দায়িত্ব পালন করেছে।
মুশফিকা আফরিন এক পরিক্ষার্থী বলেন, “পরীক্ষার হলের পরিবেশ ভালো ছিলো। টিচাররা অনেক সৌহার্দপূর্ণ ছিলো। চারটি সেট ছিলো পরিক্ষার।ইংরেজি ও বাংলা সহজ ছিলো। এছাড়া গ্রুপের বিষয়গুলো থেকে ব্যাসিক কোশ্চেন এসেছে।”

জাহিদুল ইসলাম এক পরিক্ষার্থী বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে।প্রশ্ন মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। একাউন্টিং বিষয়টা একটু কঠিন হয়েছে তবে বাংলা বিষয়টা একটু কনফিউজিং ছিলো। সব মিলিয়ে ভালোই ছিলো।”
পরীক্ষার্থী রউনোক জাহান মেঘলা বলেন,“ প্রিপারেশন আলহামদুলিল্লাহ ভালো ছিলো।তবে একাউন্টিং নিয়ে এক্টু ভয়ে ছিলাম তবে মোটামুটি সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে।অতো সহজও না আবার কঠিনও না, স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ছিলো।”

পরীক্ষার সার্বিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সি’ ইউনিট পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি খুবই সুন্দর ছিলো। পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সংখ্যা কম ছিলো। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষক, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, সাংবাদিক এবং অন্যান্য যারা সাহায্য করেছে সকলকে ধন্যবাদ।
বেশিরভাগ হলেই সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও কিছু হলে দেয়াল ঘড়ি না থাকা ও অচল ঘড়ি থাকার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। একাধিক শিক্ষার্থী কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে এবং প্রকৌশল ও আইন অনুষদ ভবনের ১০১ নং রুমে সময় ব্যবস্থাপনায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুবিতে গুচ্ছ ‘গ’ ইউনিট পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, কয়েকটি রুমে ঘড়ি ছিল না। তাই আমরা ডিউটিরত শিক্ষকদের বলে দিয়েছিলাম ১৫ মিনিট পরপর সময় বলে দিতে। সেইভাবে বলে দেয়া হয়েছিল। এতে করে পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ