ফাইল ছবি
বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দিয়েছে ফাইজার। এসব টিকা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসব টিকা দিয়ে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষকে চতুর্থ এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে।
দেশে ফের করোনা শনাক্ত হঠাৎ করে ঊর্ধ্বমুখী। সারা দেশে গত রোববার (২৮ মে) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭১ জনে। গত রোববার (২৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৩২৭ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে এ সময় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪৬ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৭ মে) সারা দেশে ৬১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। তার আগের দিন শুক্রবার (২৬ মে) করোনা শনাক্ত হয় ২৮ জনের দেহে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। পরবর্তী সময়ে করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে আসে। ডেলটার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে আসে। ডেলটার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।