জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস নবনির্বাচিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সাথে কথা বলেছেন এবং তাকে বার্লিন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সোমবার সরকার এ কথা জানিয়েছে।
ইসলামিক রক্ষণশীল এরদোয়ান তুরস্কের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি নেতা। রোববার নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে তার দুই দশকের শাসনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
জার্মান সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘চ্যান্সেলর জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন। এই সম্পর্ক কেবল ন্যাটোতে যৌথ মিত্র হিসেবেই নয়।
জার্মান সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উভয়ই নতুন উদ্দীপনার সাথে দুই সরকারের মধ্যে সহযোগিতার দিকে এগিয়ে যেতে এবং অভিন্ন বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একমত হতে সম্মত হয়েছে।’
এতে বলা হয়, শলৎস এরদোয়ানকে ‘একটি উদ্বোধনী সফরে’ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে তারা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে একটি ভাল উন্নয়ন, ন্যাটোতে বর্তমানে মুলতুবি থাকা সিদ্ধান্ত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের বিষয়ে একসাথে কাজ করতে চায়।
পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন, এরদোয়ান তুরস্কের সুবিধার জন্য রাশিয়া ও পশ্চিমা অংশীদারদের মধ্যে সেতুবন্ধনের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে এরদোয়ানের ব্যক্তিগত সম্পর্কেও কারণে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্রেমলিন টিকে আছে।
এবং ন্যাটো অংশীদাররা উদ্বিগ্নভাবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা জোটে যোগদানের জন্য আঙ্কারার সুইডেনের স্থগিত আবেদন অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।
স্টকহোমকে অবৈধ কুর্দি জঙ্গিদের সাথে কথিত যোগসূত্রসহ তুর্কিবিরোধী ব্যক্তিদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে এরদোয়ান আবেদনটি আটকে দিয়েছেন।