সম্প্রতি দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন হয়েছে, সেটা শুধু কৌশলগত চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বলে জানিয়েছে তেহরান। বরং নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ফরাসি দৈনিক লা ফিগারোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। ইরানের আধা-সামরিক বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এ খবর দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরানের বর্তমান প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই ইরান গত কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে বাগদাদ ও ওমানে নিরাপত্তা আলোচনা চালিয়েছে।
আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, শেষ পর্যন্ত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সৌদি আরব সফরে একটি শক্তিশালী রোডম্যাপ উত্থাপিত হয়। এর ফলে চীনা মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এই উদ্যোগকে নিছক ট্যাকটিক্যাল চুক্তি বলে মনে করছি না। বরং এটি কৌশলগত চুক্তির চেয়ে আরও বেশি কিছু।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে সৌদি আরব ও ইরান নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।