অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও অর্থ ধারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। বুধবার ৩১৪-১১৭ ভোটে এ বিষয়ক ঋণসীমা বিল পাস হয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। তবে এর আগে সিনেটে ভোটের মাধ্যমে পাস হতে হবে।
মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থ বিভাগের তহবিল শেষ হয়ে যাওয়ায় ৫ জুনের আগে এই বিলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
এর মাধ্যমে মার্কিন প্রণেতারা ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণসীমা উঠিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছেন।
বুধবার ১৬৫ জন ডেমোক্র্যাট ও ১৪৯ জন রিপাবলিকান ঋণের সীমা বাড়ানোর জন্য ৯৯ পৃষ্ঠার বিল অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দেন ৭১ রিপাবলিকান ও ৪৬ ডেমোক্র্যাট সদস্য।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি সমঝোতায় না পৌঁছায় এ বিল পাস নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। পরে তাদের মধ্যস্থতায় নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো হয়।
বাইডেন ও ম্যাকার্থি আশাবাদী যে, ৫ জুনের সময়সীমার আগে ৯৯ পৃষ্ঠার বিলটি পাস করার জন্য হাউসে পর্যাপ্ত ভোট পাবেন।
এর আগে কংগ্রেসের নির্দলীয় বাজেট স্কোরকিপার বলেছেন, আইনটি ২০২৪ সাল থেকে ১০ বছরে আনুমানিক দেড় ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হ্রাস করবে।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস আরও বলেছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে সরকারি ঋণের সুদ কমবে ১৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
উল্লেখ্য, এই বিল পাস না হলে চরম অর্থ সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয় আমেরিকায়। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, ঋণ সীমা বাড়ানো না হলে জুনের শুরু থেকেই সরকারি বেতন, বিলসহ অন্যান্য অর্থ দিতে পারবে না দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। সূত্র: বিবিসি