সেনাবাাহিনী ও আধাসেনার মধ্যে চলা সংঘর্ষে রক্তাক্ত সুদান। আমেরিকা ও সৌদি আরব লাগাতার চেষ্টা করলেও সংঘর্ষ থামছে না। যুদ্ধের ভয়ানক কোপে রক্তাক্ত হচ্ছে শৈশব। জানা গেছে, মাত্র ছ’সপ্তাহে সুদানে অনাহারে প্রাণ দিয়েছে অন্তত ৬০টি শিশু।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যাম সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহে রাজধানী খার্তুমের অনাথ আশ্রমে মৃত্যু হয়েছে ৬০টি শিশুর। মৃতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি সদ্যোজাত। অনাহারই এর জন্য দায়ী বলে খবর। ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে আল মায়কোমা নামের ওই অনাথ আশ্রমে শিশুদের দুর্দশার ভিডিও। সেখানকার কর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর স্বেচ্ছাসেবকদের ক্যামেরায় বন্দি হওয়া সেই হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছে বিশ্ব।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে ফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে অনাথ আশ্রমটির কর্মী আফকার ওমর মুস্তফা বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমরা যানতাম যে এই দিন আসবে। এখানে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
এদিকে, এই ঘটনার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ইউনিসেফ ও রেড ক্রসের মদতে ২৮ মে আল মায়কোমা অনাথ আশ্রমে খাবার ও ওযুধ পৌঁছে দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, সুদানে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল-সেনাপ্রধান আবদেল আল ফতা আল বুরহান ও জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে চলা লড়াইয়ে যুযুধান দুই পক্ষের কেউই সংঘর্ষবিরতি মানছে না। রক্তক্ষয়ী ক্ষমতার লড়াইয়ে গত কয়েক দিন পশ্চিমের দারফুর এলাকায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খারতুমেও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই।
You cannot copy content of this page