• মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
টেকসই বসতি গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান গুতেরেসের – সংগৃহীত বিদেশিরাও এখন বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি কিংবা আপিল বিভাগে যেতে পারেন: অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বন্ধুর সঙ্গে বড় ধরনের ঝগড়া হয়েছে? সম্পর্ক ঠিক করার টিপস ২ দিন পর সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু অক্টোবরেই সরকারের পতন ঘটাতে চায় বিএনপি জিকো-সহ ৫ ফুটবলারকে নিষিদ্ধ করলো বসুন্ধরা ক্লাব রুশ হ্যাকারদের হামলার কবলে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ওয়েবসাইট সাংবাদিক ইলিয়াসকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ করোনা টিকার বিকাশে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন দুই গবেষক

স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ল ১২ শ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন অর্থবছরে এ খাতে ১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।

বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টগুলো অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলো থেকে শিশুদের সুরক্ষা দিতে চলমান রাখা হয়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। ১৯৮৫ সালে ইপিআই কভারেজ ছিল মাত্র ২ শতাংশ, যা বর্তমানে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ১০৬টি উপজেলায় মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি) কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির (এসএসকে) আওতায় টাঙ্গাইল জেলার ১১টি উপজেলায় আন্তঃবিভাগীয় রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বেনিফিট প্যাকেজের অধীনে ৭৮টি নির্ধারিত রোগের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, গ্রামীণ জনগণের কাছে সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর কার্যকর মাধ্যম হিসেবে আমরা এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারত্বে পরিচালিত হয়। ক্লিনিকের জন্য জমি প্রদানের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনায়ও ভূমিকা রাখেন। ক্লিনিক পরিচালনা ও ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব সরকারের। ক্লিনিকে মা, নবজাতক ও অসুস্থ শিশুর সমন্বিত সেবা (আইএমসিআই), প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা, সাধারণ আঘাতের চিকিৎসা ছাড়াও পুষ্টিসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া, ক্লিনিকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগ শনাক্ত করা হয়। বয়স্ক, কিশোর-কিশোরী ও প্রতিবন্ধীদের লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেয়া হয়। ক্লিনিক থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াও শিশুদের অনুপুষ্টিকণার প্যাকেট দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনা পয়সায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৪০ জন সেবাপ্রার্থী সেবা গ্রহণ করে থাকেন, যার ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেয়া হয়

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ