ইউক্রেন যদি ন্যাটো জোটের সদস্য হয় তাহলে বিষয়টি আগামী কয়েক বছর সমস্যা তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন। শুক্রবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই বিষয়টি অনেক ইউরোপীয় দেশ বুঝতে পারছে। কিন্তু সামরিক জোটের সবকিছু নির্ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের সদস্য করতে বৃহস্পতিবার আরও জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, যদি এই মুহূর্তে সদস্যপদ সম্ভব না হয় তাহলে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান করার জন্য।
ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যোগদানের আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, আমাদের দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আলোচনার টেবিলে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কিয়েভ শাসকদের অপ্রস্তুতি, অনিচ্ছা ও অসক্ষমতার প্রকাশ বিষয়টি।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ অবশ্যই উত্তেজনা সৃষ্টির একটি কারণ এবং সম্ভবত আগামী বেশ কিছু বছরের সমস্যা তৈরি করবে।
দিমিত্রি মুখপাত্র আরও বলেন, অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেশ এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ওয়াশিংটনের নির্দেশে ন্যাটোর সবকিছু নির্ধারিত হয়। এই পুরো বিষয়ে ইইউ অনুগত হাতিয়ার মাত্র।
২০০৮ সালে বুখারেস্টের সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ইউক্রেন ও জর্জিয়া এক সময় ন্যাটোর সদস্য হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনও অবস্থান প্রকাশিত হয়নি যাতে প্রমাণিত হয় ন্যাটো সদস্য হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।
পেসকভ বলেন, রাশিয়া নিজের স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর মধ্যে থাকবে ন্যাটোর সম্প্রসারণ ও আমাদের সীমান্তকেন্দ্রিক তাদের প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি।
দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণকে রাশিয়ার প্রতি পশ্চিমা শত্রুতাপূর্ণ আচরণের প্রমাণ হিসেবে দেখে আসছে ক্রেমলিন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের একটি কারণ হিসেবে এটিকে উল্লেখ করে আসছে মস্কো। এই আক্রমণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম সংঘাতে পরিণত হয়েছে।
ন্যাটোর বর্তমান সদস্য ৩১টি রাষ্ট্র। এই বছর জোটে যোগ দিয়েছে ফিনল্যান্ড। ন্যাটো সব সময় দাবি করে আসছে, তারা একটি প্রতিরক্ষামূলক জোট, রাশিয়ার কোনও হুমকি নয়।