শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সবার প্রথমে অবস্থান ভিটামিন সি এর। শুধু যে ভিটামিন হিসাবে এর জনপ্রিয়তা, তা নয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবেও ভিটামিন সি-এর কদর কম নয়।
শরীরের পাশাপাশি চুল ও ত্বকের যত্নেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিন। শরীর ভিটামিন সি জমিয়ে রাখতে পারে না। লেবু, টমেটো, ক্যাপসিকাম, পেয়ারা, ব্রকোলি বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি পেয়ে থাকে শরীর।
তবে শরীরে ভিটামিন সি-এর অনুপস্থিতি প্রাথমিকভাবে টের পাওয়া যায় না। ফলে উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় এই অভাবকে উপেক্ষা করতে করতে এমন একটা পর্যায় আসে, যখন ক্রনিক অ্যানিমিয়া হয়ে যায়। দেখা দেয় অন্য অনেক ক্রনিক উপসর্গ।
চলুন জেনে নেই কী দেখে বুঝবেন শরীরে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ভিটামিন সি-এর?
ভিটামিন সি-এর অভাবে ঠান্ডা লাগে
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বার বার ঠান্ডা লাগলে সতর্ক হোন। ভিটামিন সি-এর অভাব লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না। তাই শরীর কোনও জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। সহজে ঠান্ডা লাগেও এই কারণেই।
ভিটামিন সি-এর অভাবে অ্যানিমিয়া হয়
সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরেও রক্তস্বল্পতা না কমলে অবশ্যই খাবারে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। ক্লান্তিবোধ, ঘন ঘন মাথা ব্যথা, সঙ্গে রক্তস্বল্পতার চোখরাঙানি আদতে ভিটামিন সি-এর অভাব বোঝায়।
ভিটামিন সি-এর অভাবে চুল ওঠে
ভিটামিন সি-এর স্বল্পতা চুলের গোড়া আলগা ও চুল পাতলা করে তোলে। সহজেই চুল ঝরে এর অভাবে। চুলের যে কোনও প্রসাধনে তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি, লেবুর উপাদান থাকলে ভাল। কোনও অসুখ ছাড়াই ঘন ঘন চুল উঠলে ভিটামিন সি খাওয়াতে মন দিন।
ভিটামিন সি-এর অভাবে ত্বক খসখসে হয়
ত্বকের অন্যতম পুষ্টি কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকে এই ভিটামিনের অনুপস্থিতিতে। ফলে ত্বক পাতলা ও ফ্যাকাশে হতে থাকে। ত্বক নিজস্ব উজ্জ্বলতা এবং সজীবতা হারায়। খসখসে হয়ে যায়।