ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) ভাঙতে চলছে সর্বোত চেষ্টা। এস্টাবলিশমেন্ট, সরকার, রাষ্ট্রযন্ত্র সব দিক থেকে এই দলের নেতাকর্মীদের ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে ইমরান খানের ডান হাত বলে পরিচিত তার সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী শিরিন মাজারি সহ বিপুল সংখ্যক নেতা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। শুধু তা-ই নয়। তাদেরকে দিয়ে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ জন্য আদিয়ালা জেলে বন্দি পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন ফাওয়াদ চৌধুরী। তাকে টোপ দিয়েছেন। কিন্তু জানামতে কুরেশি সেই টোপ গেলেন নি। তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বড় পূর্বাভাস দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বিকল্প খুঁজে পেলেই অর্থাৎ উপযুক্ত পদ খুঁজে পেলেই কুরেশি পিটিআই ত্যাগ করবেন। তার এ কথাতেই বোঝা যায় কুরেশি হয়তো নীতিগতভাবে রাজি হয়েছেন। তাকে যদি উপযুক্ত পদ দেয়া হয়, তাহলে তিনিও বিগড়ে যেতে পারেন। খাজা আসিফ বলেছেন, ৯ই মের সহিংসতার বিষয়ে একই অবস্থানে আছে এস্টাবলিশমেন্ট, রাজনীতিকরা ও জনগণ। তবে তিনি বলেছেন, কুরেশি যখন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ত্যাগ করেন তখন তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজে (পিএমএলএন) যোগ দিতে চেয়েছিলেন।
এরই মধ্যে মাওলানা ফজলুর রেহমানের দল জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম-ফজলু (জেইউআইএফ) দলের অনেক নেতা পিটিআই’কে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। সরকারের কোনো কোনো মহল থেকেও তা বলা হয়েছে। দলের প্রধান ইমরান খানের বিচার সামরিক আইনে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। যদি তাই হয়, তাহলে ইমরান খানের ভবিষ্যত কি তা সহজেই অনুমেয়। যদি তাই হয়, তাহলে পিটিআই টিকে থাকবে, একথা কেউ হলফ করে বলতে পারেন না। এরই মধ্যে খাজা আসিফ দলটিতে ইমরান খানের পরেই যার ওপর দলের দায়িত্ব দিয়েছেন ইমরান, সেই শাহ মেহমুদ কুরেশিও সুযোগ খুঁজছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি উপযুক্ত পদ পেলেই পগাড় পাড়ি দেবেন।
তবে কুরেশির ছেলে জৈন কুরেশি এমন জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, তার পিতা ইমরান খানের পথ অবলম্বন করবেন। তিনি পিটিআই ছেড়ে যাবেন না। এরই মধ্যে দলটির কমপক্ষে ৮০ জন নেতা, আইন প্রণেতা ইমরান খানকে ত্যাগ করেছেন। শুক্রবার জিও নিউজের প্রোগ্রাম ‘আজ শাহজেব খানজাদা কি সাথ’ অনুষ্ঠানে খাজা আসিফ বলেছেন, যখন পিপিপি ছাড়েন তখন পিএমএলএনে যোগ দিতে চেয়েছিলেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। এ কথা তিনি আমাকে বলেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে তখন নওয়াজ শরীফের সঙ্গেও কুরেশি সাক্ষাৎ করেছিলেন।